ভোলা সদর মডেল থানার হাজতে ধর্ষণের অভিযোগে আটক এক ব্যক্তি আত্মহত্যা করেছে বলে জানিয়েছে পুলিশ। গতকাল সোমবার দিবাগত সোয়া ১২ টার দিকে থানা হাজতে এ ঘটনা ঘটে। পুলিশের দাবি, হাজতে থাকা জায়নামাজ নিয়ে তিনি আত্মহত্যা করেছেন।
ওই ব্যক্তির নাম মোঃ হাসান। তার বাড়ি সদর উপজেলা রাজাপুর ইউনিয়নের মেদুয়া গ্রামের মৃত রফিকুল ইসলামের ছেলে এবং সদ্য বিবাহিত। প্রতিবেশী এক গৃহবধূকে ধর্ষণের অভিযোগে গতকাল তাকে আটক করে থানা পুলিশ।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, মারা যাও হাসান গতকাল বেলা তিনটার দিকে এক প্রতিবেশী বাড়িতে রেফ্রিজারেটরের মাংস রাখতে যান। এ সময় তার বিরুদ্ধে এক গৃহবধূকে ধর্ষণ করার অভিযোগ ওঠে। এরপর এলাকাবাসী হাসানকে ধরে গণপিটুনি দেন। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে হাসানকে আটক করে সদর হাসপাতালে ভর্তি করে। চিকিৎসা করে রাতে ৮ টার দিকে তাকে থানা হাজতে রাখা হয়। এখানে রাত সোয়া ১২ দিকে হাজতে থাকা জায়নামাজ দিয়ে তিনি আত্মহত্যা করেন।
হাসানের মা শাহনাজ পারভীন বলেন, ‘আমার ছেলে পুলিশকে বারবার অনুরোধ করে বলেছিল, ‘স্যার আমি একটু আমার মা এবং বউয়ের কাছে ফোন করমু মোবাইলটা একটু দেন। কিন্তু, এরপরও পুলিশ তাকে ফোন দেয়নি। তাকে একটু খাবারও খেতে দেয়নি। আমার ছেলে যদি অপরাধী হয়। তাহলে তাকে দেশের আইনে বিচার করবে। কিন্তু, তাকে এভাবে মানুষরা কেন মারল? পুলিশ একটুও দয়ামায়া করেনি’।
হাসানের স্ত্রী বলেন, হাসান সদ্য বিবাহিত। দেড়মাস তাদের বিয়ের বয়স। ওই নারী পূর্ব শত্রুতাকে কেন্দ্র করে হাসানকে মিথ্যা ধর্ষণ মামলায় ফাঁসিয়েছেন বলে তিনি দাবি করেন। তিনি আরো বলেন, হাসান যখন আত্মহত্যা করে তখন সেখানের দায়িত্বরত পুলিশ সদস্য কোথায় ছিল? হাসানের মৃত্যুতে পুলিশের গাফলতি রয়েছে। পুলিশ তাদের সঠিক দায়িত্ব পালন করলে আজ হাসানের মৃত্যু হতো না।
এ ঘটনায় ভোলা সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আবু শাহাদাৎ হাচনাইন পারভেজ ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, ফাতেমার বাবা ধর্ষণের একটি অভিযোগে করেন। অভিযোগটি যাচাই করতে পুলিশ হাসপাতালে যায়। এসময় অভিযুক্ত হাসাকে হাসপাতাল থেকে রিলিজ করলে অভিযোগের ভিত্তিতে তাকে থানায় আটক রাখা হয়। এর মৃত্যুর সাথে অন্য কোনো ঘটনা থাকলে তদন্ত করে আইনের আওতায় আনা হবে।