আজ ১৮ এপ্রিল বীরশ্রেষ্ঠ শহীদ সিপাহী মোস্তফা কামালের ৫৪ তম মৃত্যুবার্ষিকী। আজকের দিনটিকে স্মরণীয় করে রাখতে, ইষ্ট বেঙ্গল রেজিমেন্ট চট্টগ্রাম সেনানিবাস কর্তৃক বীরশ্রেষ্ঠ মোস্তফা কামালের পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে মতবিনিময় করবেন মেজর জেনারেল তৌহিদুল আহমেদ। একই সাথে চট্টগ্রাম সেনানিবাসে জাতির এই শ্রেষ্ঠ সন্তানের রুহের মাগফিরাতের জন্য দোয়া মোনাজাতের আয়োজন করেছে বলে জানা যায়।
জানাগেছে ১৯ ৪৭ সালে ১৬ ডিসেম্বর ভোলা জেলার দৌলতখান থানার পশ্চিম গাজীপুর গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন মোহাম্মদ মোস্তফা কামাল। তার বাবা হাবিবুর রহমান ছিলেন সেনাবাহিনীর হাবিলদার। পাঁচ ভাই - বোনের মধ্যে সবার বড় মোস্তফা কামালের ছোটবেলা থেকেই ভালো লাগতো সৈনিকদের কুচকাওয়াজ। নিজেও স্বপ্ন দেখতেন একদিন সৈনিক হবেন। ১৯৬৭ সালে বাড়ি থেকে পালিয়ে পাকিস্তান সেনাবাহিনীতে যোগ দেন। ক্রমশই স্বাধীনতা দাবিতে সারাদেশ উত্তাল হতে শুরু করে। ১৯৭১ সালে শুরু হয় মুক্তিযুদ্ধ। সিপাহী মোস্তফা কামালের নেতৃত্বে ১৯৭১ সালের ১৬ এপ্রিল একটি মুক্তিযুদ্ধা দল ব্রাহ্মণবাড়িয়া থেকে এগিয়ে আসা পাকিস্তানি অনাদার বাহিনীকে ঠেকানোর জন্য আখাউড়ার দরুইন গ্রামে অবস্থান নেয়।
১৮ এপ্রিল সকাল ১১ টার দিকে প্রবল বৃষ্টি। শুরু হয় শত্রুর গোলাবর্ষণও, মুক্তিযোদ্ধারাও পাল্টা গুলি ছোড়ে। পরিস্থিতি সম্মুখ যুদ্ধের রূপ নেয়। এ সময় এক এক করে দুই মুক্তিযুদ্ধার বুকে গুলি লাগলে মোস্তফা কামাল সহযোদ্ধাদের নিরাপদে সরে যেতে বলেন। তার সহযোদ্ধারা নিরাপদে চলে গেল অবিরাম গুলি চালান তিনি। মারা যান বেশ কয়েকজন পাকিস্তানী সেনা। যে মোস্তফা কামালের গুলি শেষ হয়ে যায়, হঠাৎ করে একটি গুলি এসে লাগে তার বুকে সেখানে শহীদ হন তিনি। মুক্তিযুদ্ধের বীরত্তপূর্ণ অবদানের স্বীকৃতি স্বরুপ বাংলাদেশ সরকার তাকে সর্বোচ্চ রাষ্ট্রীয় সম্মাননা '' বীরশ্রেষ্ঠ'' খেতাবে ভূষিত করে।